রাব্বি আহমেদ : প্রতিবছর নিজেরা নিজের পরিবারের জন্য কেনাকাটা করা হয়। এবারও ছিলনা তার ব্যতিক্রম। প্রস্তুতি ছিল নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য কেনাকাটা কিন্তু না এবার আর নিজের পোশাক কিনতে মন চাইলো না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ নানা ভাবে খবর পেলাম মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে থাকা অসহায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মানুষের কথা। সেই সব পাগলদের কথা চিন্তা করেই নিজের পোষাক ক্রয় করা টাকা দিয়ে তাদের জন্য নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার চিন্তা করলাম। কথা গুলো বলছিলাম গাংনী উপজেলার সাইদুর রহমানের। সাইদুর রহমান গাংনী উপজেলার বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম বজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নূরজাহান বেগমের ছোট ছেলে। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করলেও একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে পরিচিতি করিয়েছেন।সাইদুর রহমানের শৈশবকাল গাংনীতে কাটলেও ঢাকাতে দীর্ঘদিন ধরেই ই-কমার্সের ব্যবসা ও একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির আই টি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন। আর পরিবর্তনের মেহেরপুর ও উদ্যোক্তার সংগ্রাম নামের ফেসবুক দুটি গ্রুপ দিয়ে জেলার বিভিন্ন সাধারণ, অসহায়, দরিদ্র পীড়িত, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও বাক প্রতিবন্ধী বা সমাজের একদম নিম্ন শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে ভাবেন। কখনো খাবার নিয়ে আবার কখনো পোশাক নিয়ে আবার কখনো কখনো স্বপ্নও দেখিয়ে থাকে। আর এই কাজে সহযোগিতা করছেন মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সচেতন মহলের মানুষ। কখনো বা সাংবাদিক, কখনো সোশ্যাল ওয়ার্কার বা কখনো সামাজিক ব্যক্তিত্ব তার পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করছে।